বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

কম্পিউটার ক্রাস হওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য কারন


আধুনিক যুগে প্রায় সকলের বাড়িতেই ডেক্সটপ পিসি বা ল্যাপটপ দেখতে পাওয়া যায়। আর পিসির বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পিসি ক্রাস একটি অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যার সম্মুখে  কম বেশী সকলেই পড়ে থাকে। সেজন্য এ সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য আপনাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস নিচে দেয়া হলো। এগুলো অনুসরন করলে আমরা আমাদের পিসিকে ক্রাস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।



Hardware conflict

হার্ডওয়ার এর সংঘর্ষ আবার কি ? উইন্ডোজ ক্র্যাশ করার এটাই প্রধানত কারণ। এক হার্ডওয়ার ডিভাইস অন্য আরেক হার্ডওয়্যার ডিভাইসের সাথে কমিউনিকেট করে এক ধরনের চ্যানেলের মাধ্যমে, যাকে বলে Interrupt request channel (IRQ)। এবং এই IRQ প্রতিটি ইউনিক হতে হবে। মানে একটি IRQ আরেকটি IRQ থেকে ভিন্ন হতে হবে। যেমন : প্রিন্টার সাধারণত কানেক্ট হয় যে চ্যানেলে তা হচ্ছে IRQ 7, কীবোর্ড কানেক্ট হয় IRP 1 এবং ফ্লপি কানেক্ট হয় IRQ 6 চ্যানেলগুলিতে। এই ডিভাইসগুলি চেষ্টা করে নিজেদের জন্য ইউনিট চ্যানেল তৈরি করতে।

যদি এখানে অনেক বেশি ডিভাইস থেকে থাকে, অথবা এই ডিভাইসগুলি সঠিকমত ইন্সটল করা না থাকে তাহলে তাদের ভিতরে দুই বা ততোধিক ডিভাইস একই IRQ শেয়ার করে থাকে। যখন ইউজার চেষ্টা করে উভয় ডিভাইসকেই একই সময় ব্যবহার করতে, ঠিক তখনই কম্পিউটার ক্র্যাশ করে।

নিশ্চিত হবার উপায় হচ্ছে যদি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট হয়ে থাকে তাহলে Start -> Settings -> Control Panel -> System -> Device manager এ গিয়ে দেখা যাবে কোন কোন হার্ডওয়্যারের পাশে হলুদ আইকন ‘!’ এসে বসে আছে। সেই হার্ডওয়্যারটিতে ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গেলে দেখা যাবে IRQ নাম্বারটি যা সেই ডিভাইসটি ব্যবহার করছে এখন। যদি এই নাম্বার দুইবার হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে হতে পারে দুইটি ডিভাইস এই নম্বরটি ব্যবহার করছে।

এই সমস্যা হলে যা করতে হবে :



ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে সেই সমস্যাপূর্ণ ডিভাইসটি বা ডিভাইসগুলি আনইন্সটল করে আবার ইন্সটল করতে হবে। কোন কোন সময় ড্রাইভারগুলি আপডেট দিতে হতে পারে। ড্রাইভার সংগ্রহে না থাকলে নিচের লিংক থেকে চেষ্টা করা যেতে পারে –

http://download.cnet.com/windows/drivers.

যদি ডিভাইসটি হয়ে থাকে সাউন্ড-কার্ড অথবা, মডেম তাহলে সেগুলি খুলে মাদারবোর্ডের অন্যকোন স্লটে লাগিয়ে দেখা যেতে পারে। যখন কম্পিউটার এর ভিতরে কাজ করা হবে (অর্থাৎ কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার খুলার সময়) অবশ্যই সুইচ অফ করে নিতে হবে।

Bad Ram

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাপারটি কি হতে পারে। RAM এর সমস্যার কারণেও এই BSOD বা ব্লু-স্ক্রিন-জনিত সমস্যা হতে পারে এবং ম্যাসেজ আসতে পারে “Fatal Exception Error.”। ফ্যাটাল ইরোর গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার সমস্যা দেখায়। কোন কোন সময় এই ইরোর বুঝায় যে, কোন একটি অংশ ভাঙ্গা আছে এবং রিপ্লেস করার প্রয়োজন।

কিন্তু এই RAM এর জন্য যে Fatal ইরোর আসে তার কারণ হতে পারে র‍্যামটি/র‍্যামগুলি ঠিক মত match করে নাই অর্থাৎ mismatch হয়েছে। যেমন : র‍্যামের বাস-স্পিড রয়েছে যা মাদারবোর্ডের বাস-স্পিডের সাথে মিলতে হবে। যদি না মিলে তাহলে ফ্যাটাল ইরোর আসবে। এই সমস্যার সমাধানে জন্য, সঠিক বাস-স্পিডের র‍্যাম মাদারবোর্ডে লাগাতে হবে। এবং একাধিক র‍্যাম থাকলে সমস্যা-ওয়ালা র‍্যামটি ডিটেক্ট করে সেটা খুলে ফেলতে হবে। এছাড়াও RAM এর Wait State নামক একটি ফাংশন আছে যা বায়োস এ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সেই ফাংশনটি BIOS Settings এ গিয়ে বাড়িয়ে দিতে হবে প্রয়োজন হলে। তাহলে আশা করা যায় এই সমস্যার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

BIOS settings

প্রতিটি মাদারবোর্ডের সাথে চীপসেট সেটিংস দেয়া থাকে যা ফ্যাক্টরি থেকেই ডিফল্ট সেটিংস দিয়ে রাখে। এই সটিংস এ প্রবেশ করার জন্য কম্পিউটার বুট করার সময় কীবোর্ডের F2 অথবা, Delete বাটন চাপতে হবে। একবার বায়োসে প্রবেশ করলেই অতিরিক্ত সাবধানতার সাথে সেই সেটিংস কন্ট্রোল করতে হবে।

একটি কমন BIOS error হচ্ছে CAS latency যা RAM কে রেফার করে। পুরাতন র‍্যাম এর তিনটা CAS latency থাকে আর নতুন SDRAM এ থাকে ২টি। এই অপশন যদি কোন কারণে ভুল হয়ে থাকে তাহলে RAM লক হয়ে যেতে পারে অথবা, কম্পিউটার এর ডিসপ্লে ফ্রিজ হয়ে যেতে পারে। যদি সম্ভব হয় তাহলে বায়োসে গিয়ে IRQ নম্বর সেটিংস অটো করে দিয়ে রাখাই ভালো।

Hard disk drives

এক মাস পর পর হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর তথ্যগুলি ফ্র্যাগমেন্ট করা উচিত। Screen Freeze জনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এটা অনেক কার্যকর। উইন্ডোজ এর Start -> Programs -> Accessories -> System Tools -> Disk Defragmenter এ গিয়ে রান করাতে হবে। এটা উইন্ডোজ এ ডিফল্টই দেয়া থাকে।

এই ডিফ্রাগমেন্ট চলাকালীন ভালো হয় পিসিতে কাজ না করা। তাই শিডিউল সেট করে রক্ষা যেতে পারে কবে, কখন এই প্রসেসটা হবে। আর এই জন্য Windows এর Task Scheduler টা ব্যবহার করতে হবে।

হার্ডডিস্

মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬

যেভাবে ঘুষ ছাড়া পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন


বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশের বাইরে ভ্রমণের জন্য সরকার পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে। বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আবেদনের প্রেক্ষিতে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। এই পাসপোর্ট সংগ্রহ ক রতে গিয়ে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়, এ নিয়ে পাঠকদের জন্য রয়েছে পরামর্শ।



অনলাইনে পাসপোর্টের ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে ফরম জমা দিয়ে ছবি তুলতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, তাও আবার ঘুষ ছাড়াই। জেনে নিই কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়।

১ম ধাপঃ

অনলাইনে ফরমটি ফিলআপ করুন এবং প্রিন্টআউট নিন।

২য় ধাপঃ

পাসপোর্টের ফরমটি, আপনার ন্যাশনাল আইডি এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে) সত্যায়িত করে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান।

৩য় ধাপঃ

পাসপোর্ট অফিসের পাশে সোনালী ব্যাংক এ । জরুরী পাসপোর্ট করতে চাইলে ৬০০০ টাকা আর সাধারণভাবে করতে চাইলে ৩০০০ টাকা জমা দিন। রশিদটি আঠা দিয়ে ফরর্মের উপর সংযোজন করুন।

৪র্থ ধাপঃ

এবার পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ফরমটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। তারা আপনার ফরমের উপর স্বাক্ষর করে একটি সিরিয়াল নম্বর লিখে দিবে।

৫ম ধাপঃ

এবার সরাসরি চলে যান উপ কমিশনারের রুমে এবং তাকে দিয়ে ফরমটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। এখানে থেকে ভেরিফিকেশন করার পর পাঠিয়ে দিবে পাশের কাউন্টারের রুমে ছবি তুলতে।

৬ষ্ঠ ধাপঃ

ছবি তুলতে সোজা এই কাউন্টারে গিয়ে আপনার ফরমটি জমা দিন। সেখানে অফিসার আপনার ছবি তুলবে, আঙ্গুলের ছাপ ও স্বাক্ষর নিবে এবং তারপর আপনাকে রশিদ ধরিয়ে দিবে। সেটা ভালো করে চেক করে রুম থেকে বেরিয়ে আসুন।

ব্যস… আপনার ফরম জমা দেয়া শেষ। যেদিন পাসপোর্ট দেয়ার তারিখ, সেদিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

মনে রাখবেনঃ

১. অবশ্যই বাসা থেকে সত্যায়িত করে নিয়ে যাবেন।

২. NID এর সত্যায়িত ফটোকপি এবং পুরানো পাসপোর্টের (যদি থাকে) ফটোকপি নিয়ে যাবেন।

৩. সাদা কাপড় পড়ে ছবি তোলা যাবে না।

৪. অনলাইন পাসপোর্টের অফিসিয়াল নির্দেশনা ২০১৩ অবলম্বনে

৫. অনলাইনে ফরমটির জন্য এই পেইজে ক্লিক করুনhttp://www.passport.gov.bd/

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

ট্রাভেল ফটোগ্রাফী টিপস, যা জেনে রাখা উচিত!

ট্রাভেল ফটোগ্রাফী টিপস, যা জেনে রাখা উচিত!

১. সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠুন
স্বাভাবিক ভাবে ভোর বেলায় সূর্য ওঠার পর থেকে ১ ঘন্টা এবং সূর্য ডোবার ১ঘন্টা আগে থেকে সময়টাকে বলা হয় Golden hours (যদিও বিষয়টা আপনি পৃথিবীর কোথায় আছেন তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে)। এই সময়ের মধ্যে ছবি তুললে স্বাভাবিক ভাবে আপনি সুন্দর ছবি পাবেন।
২. কিছু রিসার্চ করুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থান সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নিয়ে যাওয়া ভাল। স্বাভাবিক ভাবে কোথাও যাবার আগে ঐ স্থানের নাম দিয়ে সার্চ দিলে আপনি প্রচুর তথ্য এবং ছবি পাবেন যা আপনাকে অনেক বিষয়ই সহজ করে দিবে। আর ঐ স্থানে পৌছেও একটু খোঁজ খবর নিন।
৩. নিজের জিনিষ পত্র সম্পর্কে জানুন
কোন স্থানে যাবার আগেই আপনি ঐখানে ফটোগ্রাফীর জন্য যা যা নিচ্ছেন, তা সম্পর্কে জানুন। বাড়ি থাকতে থাকতেই জিনিষ সম্পর্কে জানা উচিত, যাতে করে আপনি আপনার ভ্রমণের সম্পূর্ণ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন।
৪. থাকার যায়গা
ভ্রমণের সময় থাকার জায়গা একটা বড় বিষয়। যেই স্থানে যাচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবে যদি আপনি ঐ স্থানের সেন্টারে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকতে পারেন, তাহলে ভাল হয়। এছাড়া যদি সম্ভব হয়, তাহলে ভাল ভিউ আছে এমন একটা হোটেলে থাকতে পারেন। আর কোন স্থানে যদি খোলা আকাশের নিচে তাবুঁ টানিয়ে রাত থাকার মত অবস্থা থাকে, তাহলেতো কথাই নেই।
৫. Hello বলা শিখুন
কোন স্থানে গেলে ঐ স্থানে মানুষ একজন আর একজনকে কি ভাবে সম্ভাষণ জানায় তা শিখে নেওয়া একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়।
৬. দেখুন, পড়ুন ও শুনুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থানের ছবি যেমন দেখা উচিত, তেমন ঐ স্থানের সম্পর্কে পড়াও অনেক গুরুত্ব পুর্ণ। আর মানুষ কি বলে সেটা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ।
৭. জায়গাটাকে উপলব্ধি করুন
পৃথিবীর প্রত্যেকটা জায়গার একটা স্বকীয়তা আছে। সেই স্বকীয়তাটাকে উপলব্ধি করতে পারাটাই মূল বিষয়। ধরেন আপনি কোন ধর্মিয় পবিত্র জায়গায় গিয়েছেন, আর সেখানে এমন একটা ড্রেস পরলেন যা ঐ স্থানের সাথে মিলে না। তখন আপনি যেমন বিব্রত বোধ করবেন আশেপাশের মানুষও তেমন বিব্রত বোধ করবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার জায়গা গুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই জিনিষটা বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ।
৮. একজন বন্ধু জোগাড় করুন
খুব স্বাভাবিক ভাবে কোথাও গেলে আপনি যদি একটু বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারবেন।
৯. অল্প জিনিষ নিয়ে ভ্রমণ করুন
ভ্রমণের সময় সাথে সব সময় অল্প জিনিষ পত্র নেওয়াটাই ভাল। হয়ত আপনি প্রচুর জিনিষ নিয়েই যাবেন, কিন্তু হোটেলে তা রেখে তারপর হালকা জিনিষ পত্র নিয়ে ছবি তুলতে বের হওয়া উচিত।
১০. একটা নতুন কিছু দেখান
আমি জানি কক্সবাজারে সমুদ্র আছে, এবং খাগড়াছড়িতে পাহাড় আছে। কিন্তু আপনি যদি আমাকে এমন কিছু দেখাতে পারেন যা আমি জানি না যে ঐখানে আছে, বা এমন কোন একটা ভিউ দেখাতে পারেন যা ঐ স্থানকে আমার কাছে নতুন করে উপস্থাপন করবে, তাহলেই সেটা হবে আপনার সার্থকতা।
১১. এক সাথে সব দেখতে যাবেন না
আপনার হয়ত সময় সল্পতা আছে, আর তাই এক স্থান থেকে দৌড়ে অন্য স্থানে গিয়ে দ্রুত সব কিছু না তুলে মাত্র একটি জায়গার সুন্দর কিছু কাজ করুন। তাতেই বরং আপনার ছবি সুন্দর হবে।
১২. আস্তে আস্তে ভ্রমণ করুন
যদি সময় আপনার অনুকূলে থাকে, তাহলে আস্তে আস্তে ভ্রমণ সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। কোন স্থানে যাবার জন্য ট্রেন বা বাসে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের। আবার কোন স্থানে গিয়ে আশে পাশে হেটে হেটে ঘুরে দেখাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩. মাঝে মধ্যে ক্যামেরাটাকে নামিয়ে রাখুন
সব সময় ক্যামেরা চোখে লাগিয়ে রাখলেই হবে না। তবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মাঝে মধ্যে ক্যামেরা রেখে চারিদিকে তাকান ভাল, তাতে করে আপনি আশেপাশে খুব ভাল করে দেখতে পারবেন।
১৪. সব কিছু স্বাভাবিক রাখুন
Henri Cartier Bresson, একজন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ফটোগ্রাফার, যিনি কখনও তার ছবি তোলায় ফ্লাসের ব্যবহর করেন নি। তার ভাষ্য মতে, একটা কনসার্টে ফ্লাস নিয়ে যাওয়া কিছুটা একটা পিস্তল হাতে নিয়ে যাওয়ার মত। সব সময় উচিত ন্যাচারাল লাইটের সুবিধাটা নেওয়া। তাই বলে কখনই ফ্লাস ব্যবহার করবেন না এমনটা নয়। তবে যথা সম্ভব এইসব এড়িয়ে চলা ভাল।
১৫. উচুঁতে উঠুন
একটু উপরের দিকে যদি উঠতে পারেন, যেমন যেই স্থান থেকে ঐ জায়গার সম্পূর্ণ একটা ভিউ পাওয়া যাবে, সেটা হবে আপনার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট।
১৬. অজুহাত দিবেন না
যদি কখনও কাউকে বলা হয় যে ছবি ভাল হয়নি কেন, তখন স্বাভাবিক ভাবে যা উত্তর আসে তা হল, “আমারতো ভাই দামী ক্যামেরা না”, “যদি আমারে কেউ ঘোরাঘুরির জন্য টাকা দিতে, তাইলে হয়ত আর একটু সময় নিয়ে ভাল কিছু করতে পারতাম”, “আমার যদি আর একটু সময় থাকত” ইত্যাদি ইত্যাদি। সরল কথায় এই গুলা হল অজুহাত। আর হুমায়ুন আহম্মেদের ভাষায় বাঙ্গালীর তিন হাত, ডান হাত, বাম হাত এবং অজুহাত। মূল বিষয় হল আপনি যদি পারেন, এমনিই পারেন, না পারলে কোন ভাবেই পারেন না। স