ট্রাভেল ফটোগ্রাফী টিপস, যা জেনে রাখা উচিত!
১. সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠুন
স্বাভাবিক ভাবে ভোর বেলায় সূর্য ওঠার পর থেকে ১ ঘন্টা এবং সূর্য ডোবার ১ঘন্টা আগে থেকে সময়টাকে বলা হয় Golden hours (যদিও বিষয়টা আপনি পৃথিবীর কোথায় আছেন তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে)। এই সময়ের মধ্যে ছবি তুললে স্বাভাবিক ভাবে আপনি সুন্দর ছবি পাবেন।
২. কিছু রিসার্চ করুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থান সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নিয়ে যাওয়া ভাল। স্বাভাবিক ভাবে কোথাও যাবার আগে ঐ স্থানের নাম দিয়ে সার্চ দিলে আপনি প্রচুর তথ্য এবং ছবি পাবেন যা আপনাকে অনেক বিষয়ই সহজ করে দিবে। আর ঐ স্থানে পৌছেও একটু খোঁজ খবর নিন।
৩. নিজের জিনিষ পত্র সম্পর্কে জানুন
কোন স্থানে যাবার আগেই আপনি ঐখানে ফটোগ্রাফীর জন্য যা যা নিচ্ছেন, তা সম্পর্কে জানুন। বাড়ি থাকতে থাকতেই জিনিষ সম্পর্কে জানা উচিত, যাতে করে আপনি আপনার ভ্রমণের সম্পূর্ণ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন।
৪. থাকার যায়গা
ভ্রমণের সময় থাকার জায়গা একটা বড় বিষয়। যেই স্থানে যাচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবে যদি আপনি ঐ স্থানের সেন্টারে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকতে পারেন, তাহলে ভাল হয়। এছাড়া যদি সম্ভব হয়, তাহলে ভাল ভিউ আছে এমন একটা হোটেলে থাকতে পারেন। আর কোন স্থানে যদি খোলা আকাশের নিচে তাবুঁ টানিয়ে রাত থাকার মত অবস্থা থাকে, তাহলেতো কথাই নেই।
৫. Hello বলা শিখুন
কোন স্থানে গেলে ঐ স্থানে মানুষ একজন আর একজনকে কি ভাবে সম্ভাষণ জানায় তা শিখে নেওয়া একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়।
৬. দেখুন, পড়ুন ও শুনুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থানের ছবি যেমন দেখা উচিত, তেমন ঐ স্থানের সম্পর্কে পড়াও অনেক গুরুত্ব পুর্ণ। আর মানুষ কি বলে সেটা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ।
৭. জায়গাটাকে উপলব্ধি করুন
পৃথিবীর প্রত্যেকটা জায়গার একটা স্বকীয়তা আছে। সেই স্বকীয়তাটাকে উপলব্ধি করতে পারাটাই মূল বিষয়। ধরেন আপনি কোন ধর্মিয় পবিত্র জায়গায় গিয়েছেন, আর সেখানে এমন একটা ড্রেস পরলেন যা ঐ স্থানের সাথে মিলে না। তখন আপনি যেমন বিব্রত বোধ করবেন আশেপাশের মানুষও তেমন বিব্রত বোধ করবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার জায়গা গুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই জিনিষটা বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ।
৮. একজন বন্ধু জোগাড় করুন
খুব স্বাভাবিক ভাবে কোথাও গেলে আপনি যদি একটু বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারবেন।
৯. অল্প জিনিষ নিয়ে ভ্রমণ করুন
ভ্রমণের সময় সাথে সব সময় অল্প জিনিষ পত্র নেওয়াটাই ভাল। হয়ত আপনি প্রচুর জিনিষ নিয়েই যাবেন, কিন্তু হোটেলে তা রেখে তারপর হালকা জিনিষ পত্র নিয়ে ছবি তুলতে বের হওয়া উচিত।
১০. একটা নতুন কিছু দেখান
আমি জানি কক্সবাজারে সমুদ্র আছে, এবং খাগড়াছড়িতে পাহাড় আছে। কিন্তু আপনি যদি আমাকে এমন কিছু দেখাতে পারেন যা আমি জানি না যে ঐখানে আছে, বা এমন কোন একটা ভিউ দেখাতে পারেন যা ঐ স্থানকে আমার কাছে নতুন করে উপস্থাপন করবে, তাহলেই সেটা হবে আপনার সার্থকতা।
১১. এক সাথে সব দেখতে যাবেন না
আপনার হয়ত সময় সল্পতা আছে, আর তাই এক স্থান থেকে দৌড়ে অন্য স্থানে গিয়ে দ্রুত সব কিছু না তুলে মাত্র একটি জায়গার সুন্দর কিছু কাজ করুন। তাতেই বরং আপনার ছবি সুন্দর হবে।
১২. আস্তে আস্তে ভ্রমণ করুন
যদি সময় আপনার অনুকূলে থাকে, তাহলে আস্তে আস্তে ভ্রমণ সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। কোন স্থানে যাবার জন্য ট্রেন বা বাসে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের। আবার কোন স্থানে গিয়ে আশে পাশে হেটে হেটে ঘুরে দেখাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩. মাঝে মধ্যে ক্যামেরাটাকে নামিয়ে রাখুন
সব সময় ক্যামেরা চোখে লাগিয়ে রাখলেই হবে না। তবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মাঝে মধ্যে ক্যামেরা রেখে চারিদিকে তাকান ভাল, তাতে করে আপনি আশেপাশে খুব ভাল করে দেখতে পারবেন।
১৪. সব কিছু স্বাভাবিক রাখুন
Henri Cartier Bresson, একজন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ফটোগ্রাফার, যিনি কখনও তার ছবি তোলায় ফ্লাসের ব্যবহর করেন নি। তার ভাষ্য মতে, একটা কনসার্টে ফ্লাস নিয়ে যাওয়া কিছুটা একটা পিস্তল হাতে নিয়ে যাওয়ার মত। সব সময় উচিত ন্যাচারাল লাইটের সুবিধাটা নেওয়া। তাই বলে কখনই ফ্লাস ব্যবহার করবেন না এমনটা নয়। তবে যথা সম্ভব এইসব এড়িয়ে চলা ভাল।
১৫. উচুঁতে উঠুন
একটু উপরের দিকে যদি উঠতে পারেন, যেমন যেই স্থান থেকে ঐ জায়গার সম্পূর্ণ একটা ভিউ পাওয়া যাবে, সেটা হবে আপনার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট।
১৬. অজুহাত দিবেন না
যদি কখনও কাউকে বলা হয় যে ছবি ভাল হয়নি কেন, তখন স্বাভাবিক ভাবে যা উত্তর আসে তা হল, “আমারতো ভাই দামী ক্যামেরা না”, “যদি আমারে কেউ ঘোরাঘুরির জন্য টাকা দিতে, তাইলে হয়ত আর একটু সময় নিয়ে ভাল কিছু করতে পারতাম”, “আমার যদি আর একটু সময় থাকত” ইত্যাদি ইত্যাদি। সরল কথায় এই গুলা হল অজুহাত। আর হুমায়ুন আহম্মেদের ভাষায় বাঙ্গালীর তিন হাত, ডান হাত, বাম হাত এবং অজুহাত। মূল বিষয় হল আপনি যদি পারেন, এমনিই পারেন, না পারলে কোন ভাবেই পারেন না। স
১. সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠুন
স্বাভাবিক ভাবে ভোর বেলায় সূর্য ওঠার পর থেকে ১ ঘন্টা এবং সূর্য ডোবার ১ঘন্টা আগে থেকে সময়টাকে বলা হয় Golden hours (যদিও বিষয়টা আপনি পৃথিবীর কোথায় আছেন তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে)। এই সময়ের মধ্যে ছবি তুললে স্বাভাবিক ভাবে আপনি সুন্দর ছবি পাবেন।
২. কিছু রিসার্চ করুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থান সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নিয়ে যাওয়া ভাল। স্বাভাবিক ভাবে কোথাও যাবার আগে ঐ স্থানের নাম দিয়ে সার্চ দিলে আপনি প্রচুর তথ্য এবং ছবি পাবেন যা আপনাকে অনেক বিষয়ই সহজ করে দিবে। আর ঐ স্থানে পৌছেও একটু খোঁজ খবর নিন।
৩. নিজের জিনিষ পত্র সম্পর্কে জানুন
কোন স্থানে যাবার আগেই আপনি ঐখানে ফটোগ্রাফীর জন্য যা যা নিচ্ছেন, তা সম্পর্কে জানুন। বাড়ি থাকতে থাকতেই জিনিষ সম্পর্কে জানা উচিত, যাতে করে আপনি আপনার ভ্রমণের সম্পূর্ণ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন।
৪. থাকার যায়গা
ভ্রমণের সময় থাকার জায়গা একটা বড় বিষয়। যেই স্থানে যাচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবে যদি আপনি ঐ স্থানের সেন্টারে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকতে পারেন, তাহলে ভাল হয়। এছাড়া যদি সম্ভব হয়, তাহলে ভাল ভিউ আছে এমন একটা হোটেলে থাকতে পারেন। আর কোন স্থানে যদি খোলা আকাশের নিচে তাবুঁ টানিয়ে রাত থাকার মত অবস্থা থাকে, তাহলেতো কথাই নেই।
৫. Hello বলা শিখুন
কোন স্থানে গেলে ঐ স্থানে মানুষ একজন আর একজনকে কি ভাবে সম্ভাষণ জানায় তা শিখে নেওয়া একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়।
৬. দেখুন, পড়ুন ও শুনুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থানের ছবি যেমন দেখা উচিত, তেমন ঐ স্থানের সম্পর্কে পড়াও অনেক গুরুত্ব পুর্ণ। আর মানুষ কি বলে সেটা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ।
৭. জায়গাটাকে উপলব্ধি করুন
পৃথিবীর প্রত্যেকটা জায়গার একটা স্বকীয়তা আছে। সেই স্বকীয়তাটাকে উপলব্ধি করতে পারাটাই মূল বিষয়। ধরেন আপনি কোন ধর্মিয় পবিত্র জায়গায় গিয়েছেন, আর সেখানে এমন একটা ড্রেস পরলেন যা ঐ স্থানের সাথে মিলে না। তখন আপনি যেমন বিব্রত বোধ করবেন আশেপাশের মানুষও তেমন বিব্রত বোধ করবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার জায়গা গুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই জিনিষটা বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ।
৮. একজন বন্ধু জোগাড় করুন
খুব স্বাভাবিক ভাবে কোথাও গেলে আপনি যদি একটু বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারবেন।
৯. অল্প জিনিষ নিয়ে ভ্রমণ করুন
ভ্রমণের সময় সাথে সব সময় অল্প জিনিষ পত্র নেওয়াটাই ভাল। হয়ত আপনি প্রচুর জিনিষ নিয়েই যাবেন, কিন্তু হোটেলে তা রেখে তারপর হালকা জিনিষ পত্র নিয়ে ছবি তুলতে বের হওয়া উচিত।
১০. একটা নতুন কিছু দেখান
আমি জানি কক্সবাজারে সমুদ্র আছে, এবং খাগড়াছড়িতে পাহাড় আছে। কিন্তু আপনি যদি আমাকে এমন কিছু দেখাতে পারেন যা আমি জানি না যে ঐখানে আছে, বা এমন কোন একটা ভিউ দেখাতে পারেন যা ঐ স্থানকে আমার কাছে নতুন করে উপস্থাপন করবে, তাহলেই সেটা হবে আপনার সার্থকতা।
১১. এক সাথে সব দেখতে যাবেন না
আপনার হয়ত সময় সল্পতা আছে, আর তাই এক স্থান থেকে দৌড়ে অন্য স্থানে গিয়ে দ্রুত সব কিছু না তুলে মাত্র একটি জায়গার সুন্দর কিছু কাজ করুন। তাতেই বরং আপনার ছবি সুন্দর হবে।
১২. আস্তে আস্তে ভ্রমণ করুন
যদি সময় আপনার অনুকূলে থাকে, তাহলে আস্তে আস্তে ভ্রমণ সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। কোন স্থানে যাবার জন্য ট্রেন বা বাসে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের। আবার কোন স্থানে গিয়ে আশে পাশে হেটে হেটে ঘুরে দেখাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩. মাঝে মধ্যে ক্যামেরাটাকে নামিয়ে রাখুন
সব সময় ক্যামেরা চোখে লাগিয়ে রাখলেই হবে না। তবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মাঝে মধ্যে ক্যামেরা রেখে চারিদিকে তাকান ভাল, তাতে করে আপনি আশেপাশে খুব ভাল করে দেখতে পারবেন।
১৪. সব কিছু স্বাভাবিক রাখুন
Henri Cartier Bresson, একজন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ফটোগ্রাফার, যিনি কখনও তার ছবি তোলায় ফ্লাসের ব্যবহর করেন নি। তার ভাষ্য মতে, একটা কনসার্টে ফ্লাস নিয়ে যাওয়া কিছুটা একটা পিস্তল হাতে নিয়ে যাওয়ার মত। সব সময় উচিত ন্যাচারাল লাইটের সুবিধাটা নেওয়া। তাই বলে কখনই ফ্লাস ব্যবহার করবেন না এমনটা নয়। তবে যথা সম্ভব এইসব এড়িয়ে চলা ভাল।
১৫. উচুঁতে উঠুন
একটু উপরের দিকে যদি উঠতে পারেন, যেমন যেই স্থান থেকে ঐ জায়গার সম্পূর্ণ একটা ভিউ পাওয়া যাবে, সেটা হবে আপনার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট।
১৬. অজুহাত দিবেন না
যদি কখনও কাউকে বলা হয় যে ছবি ভাল হয়নি কেন, তখন স্বাভাবিক ভাবে যা উত্তর আসে তা হল, “আমারতো ভাই দামী ক্যামেরা না”, “যদি আমারে কেউ ঘোরাঘুরির জন্য টাকা দিতে, তাইলে হয়ত আর একটু সময় নিয়ে ভাল কিছু করতে পারতাম”, “আমার যদি আর একটু সময় থাকত” ইত্যাদি ইত্যাদি। সরল কথায় এই গুলা হল অজুহাত। আর হুমায়ুন আহম্মেদের ভাষায় বাঙ্গালীর তিন হাত, ডান হাত, বাম হাত এবং অজুহাত। মূল বিষয় হল আপনি যদি পারেন, এমনিই পারেন, না পারলে কোন ভাবেই পারেন না। স
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন