বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

প্রতিদিন ১টি কাঁচা মরিচের ১৩টি স্বাস্থ্য উপকারিতা


যাদের ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মরিচকে ঝাল বানায় এর বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইকিন। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।

ঝাল স্বাদের সব্জিগুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দেখে নিন কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো।

কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা:

• গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।

• প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।

• নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।

• কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।

• কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।

• নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

• কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।

• কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।

• কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।

• নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।

• প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।

• কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী।

• কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর


বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ যাদুঘর। মূলত ১৯১৩ সালে এটি ঢাকা জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, পরে ১৯৮৩ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর। প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী যাদুঘরটি দেখতে আসে।
বৃহদায়তন ৪ তলা ভবনে শুধু বৃহৎ প্রদর্শনী হলই নয় বরং ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, তিনটি অডিটোরিয়াম, আলোকচিত্র গ্যালারি, অস্থায়ী প্রদর্শনী হল এবং একটি অডিও ভিজুয়াল বিভাগ আছে। চিত্রকলার আকর্ষণীয় সংগ্রহের মধ্যে পর্যটকরা পাবে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও শতাব্দীর পুরনো ঐতিহ্য যা বাংলাদেশের সৃষ্টিকে জাগ্রত করে। হস্তনির্মিত কিছু ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে পোড়ামাটির টুকরা, জল রং অঙ্কন, চীনামাটির বাসন, ধাতু কাজ, অস্ত্র ও মধ্যযুগীয় অস্ত্রাগার, কাঠের আসবাবপত্র, জীবাশ্ম ও ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনীতে দেশের ইতিহাসে প্রত্যনুসরণ হয় এবং প্রাচীন জগৎ সম্পর্কে জানা যায়। যাদুঘর কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনেক সেমিনার ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে হারিয়ে যাওয়া বিশ্ব সম্পর্কে নানান প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় এবং সাধারণ জনগণকে অবহিত করা হয়। বাংলদেশ জাতীয় যাদুঘর সত্যিই একটি অসাধারণ আকর্ষণ।

প্রবেশ ফি
বাংলাদেশের নাগরিক ২০ টাকা
সার্কভুক্ত দেশগুলোর নাগরিক ২০ টাকা
অন্যান্য ১০০ টাকা

প্রবেশের সময়সূচী
এপ্রিল-সেপ্টেম্বর
শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০ থেকে বিকাল ৫.৩০ পর্যন্ত
শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে ৮টা পর্যন্ত
অক্টোবর থেকে মার্চ
শনিবার থেক বুধবার সকাল ৯.৩০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত
শুক্রবার দুপুর ২.৩০ থেকে রাত ৭.৩০ পর্যন্ত

রমযান
শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯.৩০ থেকে দুপুর ৩ টাপর্যন্ত

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

নকিয়া ফোন আবার ফিরে আসছে

নকিয়া তবে ফিরেই এলো! এক সময়ে প্রবল প্রতাপে রাজত্ব করা নকিয়া ঘোষণা করেছে যে, তারা ফোন, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নিয়ে শীঘ্রিই প্রত্যাবর্তন করছে। আর নিঃসন্দেহে তাদের ফোনগুলি হবে অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট। 

ফিনল্যান্ডে এইচএমডি নামে একটি নতুন কোম্পানি গঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে কোম্পনিটির দায়িত্ব নিচ্ছেন আর্তো ন্যুমেলা। তিনি পূর্বে নকিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন এবং বর্তমানে মাইক্রোসফট কোম্পানির ফোন ডিভিশনের ব্যবস্থাপনা দেখছেন। 

নতুন কোম্পানি এইচএমডি নকিয়াকে নিয়ে আলোচনা করবে এবং এই ব্র্যান্ডটি কেমন করে কী মানে কাজ করবে তা নির্ধারণ করবে যেন তা ক্রেতা সাধারণের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ তারা মানসম্মত, সুন্দর ডিজাইনের ক্রেতা-বান্ধব ফোন তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। 

এইচএমডি আগামী ৩ বছরে নকিয়ার নাম পুনোরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক বাজারে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। কারণ উৎপাদন না থাকায় নকিয়া নামটির উপরে বিগত বছরগুলিতে ধুলার স্তর জমে গেছে। আর এ সময় তা পরিষ্কার করা জরুরী। 

অন্যদিকে ফক্সকনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো এফআইএইচ মোবাইল লিমিটেড। এই কোম্পানি ২০১৬ এর মাঝামাঝিতে মাইক্রোসফটের কাছ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নকিয়া ফোনের স্বত্ব ফিরে পাবে। 

কোম্পানিটি একই সাথে ভিয়েতনামের মাইক্রোসফট মোবাইলের দখলও পেয়ে যাবে। এই কোম্পানিটিতে ৪,৫০০ কর্মী কর্মরত আছেন। এই কর্মীবৃন্দই নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন তৈরি করে থাকেন। 

নকিয়া সম্প্রতি এফআইএইচ এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে এই কোম্পানি বিশ্বব্যাপি নকিয়া ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেটের ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা প্রদানের জন্যে একটি যৌথ অবকাঠামো গড়ে তুলবে। 

আপনাদেরকে নকিয়া ফোন ও ট্যাবলেটগুলি দেখতে কেমন হবে তা জানতে একটু লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

ঘুরে আসুন গৌর গোবিন্দ দুর্গ

গৌর গোবিন্দ দুর্গ সিলেটের শৈলপ্রান্তে, চৌহাত্তা নামক শহরে অবস্থিত। এটি রাজা গৌর গোবিন্দর প্রতি তার সাহসী সৈনিকদের করা অবাধ্যতার প্রমাণ হিসেবে গড়ে উঠেছে। জায়গাটি প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। যদিও বর্তমানে এই পর্যটন স্থানে শুধুমাত্র অবশিষ্টাংশ দেখা যায় কিন্তু তবুও তা যথেষ্ট মনমুগ্ধকর। দুর্গটি নিঃসন্দেহে পর্যটকদের হাজার হাজার বছর পূর্বে নিয়ে যায়। দুর্গটি এই অঞ্চলের স্মরণীয় প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। প্রতি বছর প্রচুর দর্শনার্থী দুর্গটির শৈল্পিক কারুকার্য উপভোগ করার জন্য আসে। 

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন বা বিমানে দুর্গটিতে যাওয়া যায়। কমলাপুর থেকে সিলেটের উদ্দেশে অনেক বাস ছেড়ে যায়। সিলেট পৌঁছানর পর কদমতলি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হবে। এখান থেকে সরাসরি বাসে করে দুর্গটিতে পৌঁছানো যায় যা সিলেট সদর থেকে ১-২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আবাসন ও খাদ্যঃ
সিলেট সদরে অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। বেশির ভাগই মাজার রোডে অবস্থিত। কম খরচে যেকোনো স্থানীয় ও বিদেশী খাবার এখানে পাওয়া যায়। হোটেল হলি গেট, হোটেল গোল্ডেন সিটি এগুলোর মধ্যে অন্যতম।