সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে ফিরে আসছে নোকিয়া


টেক জায়ান্ট নোকিয়া আগামী বছরের শুরুর দিকেই তাদের নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে বাজারে ফিরে আসছে। বেসিক এবং প্রিমিয়াম দুটি মডেলে হতে পারে ডি১সি মডেলের এই ফোনটি। এর মধ্যে বেসিক মডেলটি হবে প্লাস্টিক বডির আর প্রিমিয়াম মডেলটি হবে স্টিল বডির। এছাড়াও আর থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ প্রসেসর, ৩ জিবি র‍্যাম, ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমরি, ফুল হাই-ডেফিনিশন ডিসপ্লে। উন্নতমানের ছবি তোলার জন্য পেছনে থাকবে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং সামনে থাকবে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬

গুগল ড্রাইভ: সহজে ফাইল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটি সেবা হলো গুগল ড্রাইভ। এটি ব্যবহার করে সহজে ও নিরাপদে ফাইল রাখা যায়। ক্লাউডে ফাইল সংরক্ষণ করে বলে গুগল ড্রাইভের বেশ কিছু সুবিধা আছে। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
1. কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলেও ফাইল নষ্ট কিংবা হারাবে না।
2. ছবি, ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, পিডিএফ, অডিও, ভিডিওসহ ছোট-বড় সব ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করা যায়।
  3.মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেটসহ যেকোনো যন্ত্র থেকে ব্যবহার করা যায়।

অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই
কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে গুগল ড্রাইভের অ্যাপ ইনস্টল করলে সংরক্ষিত ফাইলগুলো কম্পিউটার বা মোবাইলের নির্ধারিত ফোল্ডারে জমা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী অনলাইন বা অফলাইনে থাকা অবস্থায় ফাইল খোলা ও হালনাগাদ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-চালিত যেকোনো যন্ত্র ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের যেকোনো কম্পিউটারের জন্য অ্যাপ পাওয়া যায়।

সিন্দাবাদ ডটকমে মিলবে ইস্পাহানির খাদ্যপণ্য

ইস্পাহানি মির্জাপুর লিমিটেডের চাসহ অন্যান্য সকল খাদ্যপণ্য এখন থেকে পাওয়া যাবে সিন্দাবাদ ডটকমে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এক চুক্তি হয়েছে।
রাজধানীর বনানীতে সিন্দাবাদডটকম-এর কর্পোরেট অফিসে এ চুক্তি সই হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ওমর হান্নান এবং সিন্দাবাদ ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা জীশান কিংশুক হক। আরো ছিলেন উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চুক্তির ব্যাপারে জীশান কিংশুক হক জানান, সিন্দাবাদ ইতোমধ্যেই ব্যবসায়িক কেনাকাটার আস্থার জায়গা হিসেবে স্থান পেয়েছে। ইস্পাহানির মত ব্র্যান্ড সেই আস্থার জায়গাটাকে আরো শক্ত করবে বলে বিশ্বাস। আমরা আরো বিভিন্ন ধরণের সুবিধা নিয়ে হাজির হব ক্রেতাদের সামনে।
ওমর হান্নান জানান, সিন্দাবাদ ডটকমের সাথে সরাসরি চুক্তির ফলে ইস্পাহানি ব্রান্ডের সব রকমের খাদ্যপণ্য এখন আরো সুবিধাজনক দামে সহজে এক জায়গায় পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, অফিস ও ফ্যাক্টরি চালাবার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় ৬,০০০ এর অধিক পণ্য সিন্দাবাদ ডটকমে পাওয়া যাচ্ছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি এন্টিলিয়া

ভারতের মুম্বাই-এ অবস্থিত এন্টিলিয়া বাড়িটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি বলা হয়ে থাকে। ১৭৩ মিটার উচ্চতার ২৭ তলার এই বাড়িটির মালিক ভারতের ব্যবসায়ী মুকেস আম্বানি। প্রায় চার লাখ বর্গফুট জুড়ে নির্মিত বাড়িটিতে রয়েছে রাজকীয় সকল ব্যাবস্থা। বাড়িটির অষ্টম তলায় আছে ৫০ আসন ক্ষমতাবিশিষ্ট একটি মিনি থিয়েটার, সপ্তম তলায় বিশাল গাড়ির গ্যারেজ, তিনটি হেলিপ্যাড, নয়টি লিফট, ঠাণ্ডা এবং গরম পানির সুবিধাযুক্ত একটি বিশাল সুইমিংপুল, তিনটি বাগান এবং বিশাল ব্যায়ামাগার। এছাড়াও আছে বিশাল বিশাল সব বারান্দা যেখান থেকে মুম্বাই শহরটিকে খুব সহজেই ভালোভাবে দেখা যায়। বাড়িটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় সাত বছর এবং এতে মোট ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার।

শক্তিশালী ভিআর রেডি গেমিং ল্যাপটপ

ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে গেম খেলার জন্য রেজার কোম্পানি খুব শীঘ্রই বাজারে নিয়ে আসছে রেজার ব্লেড প্রো ল্যাপটপ। ভিআর রেডি ল্যাপটপটিতে আছে ১৭.৩ ইঞ্চি আইজিযেডও টাচ স্ক্রীন, জি-সিঙ্ক টেকনোলজি এবং ৩৮৪০ x ২১৬০ ৪কে আলট্রা হাই ডেফিনেশান ডিসপ্লে রেজোলিউশান। এই শক্তিশালী গেমিং ল্যাপটপটিতে আরও আছে ইন্টেল কোর আই৭ ৬৭০০এইচকিউ কুয়াড-কোর প্রসেসর, ক্লক স্পীড ২.৬ গিগাহার্টজ, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম, এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ১০৮০ ৮জিবি জিডিডিআর৫ ভির‍্যাম গ্রাফিক্স প্রসেসর, ৩২জিবি ডিডিআর৪ ২১৩৩ মেগাহার্টজ র‍্যাম ও ৫১২জিবি / ১টিবি/ ২টিবি সলিড স্টেট ড্রাইভ। এসব কিছু ছাড়াও ভার্চুয়াল রেডি ল্যাপটপটিতে আছে ইউএসবি ৩.০ পোর্ট, এইচডিএমআই, ইউএসবি-সি থান্ডারবোল্ট ৩ পোর্ট, এসডি কার্ড স্লট, ইথারনেট পোর্ট, হেডফোন জ্যাক এবং একটি কেন্সিংটন লক। সাইড-মাউন্টেড স্টেরিও স্পিকার ল্যাপটপটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ডিভাইসটির সামনে আছে একটি ২ মেগাপিক্সেলের ওয়েব ক্যামেরা। দ্রুত রেসপন্স টাইমের জন্য ল্যাপটপটি লো-প্রোফাইল মেকানিক্যাল কি ব্যবহার করে থাকে। যদিও গেমিং ল্যাপটপটি মাত্র ০.৮৮ ইঞ্চি পুরু, তবুও এর ওজন ৭.৮০ পাউন্ড। ভিআর রেডি গেমিং ল্যাপটপটি ৩,৬৯৯ ডলার মূল্যে নভেম্বর মাসে বাজারে পাওয়া যাবে।

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬


অ্যাপল নিয়ে আসছে আইফোন ৭ ও ৭ প্লাস। গত সাত সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এক ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছে অ্যাপল। দুইটি রঙে নতুন ডিজাইনে ফোর্স সেনসিটিভ হোম বাটনে আসছে আইফোন ৭ ও ৭ প্লাস। ফোনের উপরে ও নিচে দুইটি স্টেরিও স্পীকার আছে। এছাড়াও থাকছে না কোন হেডফোন পোর্ট। তার পরিবর্তে আছে ওয়্যারলেস এয়ারপড। দুটি মডেলেই আছে এইচডি রেটিনা ডিসপ্লে যা আইফোন ৬ থেকেও উজ্জ্বল। আছে এ১০ ফিউসন প্রসেসর, ২ জিবি র‍্যাম এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।৩২/১২৮/২৫৬ এই তিনটি ভার্সনে পাওয়া যাবে আইফোন ৭। ধুলা ও পানিরোধী আইফোন ৭ এর পেছনে থাকবে ১২ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা আর ৭ প্লাসে থাকবে ১২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা। ক্যামেরায় অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন প্রযুক্তি যুক্ত করেছে অ্যাপল। এছাড়াও সামনে থাকছে ৭ মেগাপিক্সেলের এইচডি ক্যামেরা।




স্যানডিস্ক কোম্পানি এই প্রথম বাজারে নিয়ে আসছে উন্নতমানের ১ টেরাবাইট এসডিএক্সসি মেমোরি কার্ড। মাদার কোম্পানি ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ঘোষণা দেয়ার প্রায় ১৬ বছর পর এই উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেমোরি কার্ড বাজারে আসছে। উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মেমোরি কার্ডটিতে আছে এডভান্সড ইমেজিং টেকনোলজি। কার্ডটি এখনও প্রোটোটাইপ অবস্থায় আছে। এই ১ টিবি মেমোরি কার্ডটির মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্লাস্টিক বোতল বিশ্বের দরিদ্রতম অংশে আলো যোগান দিচ্ছে

বর্তমানে পৃথিবীতে ১.৫ বিলিয়নের বেশি মানুষ অন্ধকারে বসবাস করছে। এই বিপুল পরিমাণ মানুষগুলো শুধুমাত্র মোমবাতির আলো বা কেরোসিনের ল্যাম্প ব্যবহার করে জীবন পার করছে। মোমবাতি এবং কেরোসিনের ল্যাম্পের ধোঁয়া মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজনের বিদ্যুৎ ব্যবহার না করতে পারার আরেকটি কারণ হচ্ছে এই বিদ্যুত অতিরিক্ত ব্যয়বহুল। এই সমস্যার কারণে মানুষের জিবনের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। ভয়াবহ এই সমস্যাটি দূর করার জন্য ‘লিটার অফ লাইট’ নামক একটি ওপেন সোর্স প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করে সোলার পাওয়ারের লাইট তৈরি করা।
প্রথমে প্লাস্টিক বোতলগুলোকে পানি ও ব্লিচ দ্বারা পূর্ণ করা হয় যা শেওলা দূর করে পানিকে সবুজ হওয়া থেকে সাহায্য করে। তারপর বোতলগুলোকে বাড়ির ছাদে স্থাপন করা হয়। দিনের বেলায় আয়না হিসেবে ব্যবহৃত বোতলগুলো ৩৬০ ডিগ্রী কোণে আলো প্রতিসরণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক লাইট বাল্বের কাজ করে থাকে। পরবর্তীতে প্রকল্পটি সহজ সোলার লাইট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অংশ ও ব্যবহারবিধি সরবরাহ করে। গ্রামের মানুষজন নিজ হাতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ একত্রিত করে। তারা সোলার লাইটগুলো নিজেরাও ব্যবহার করতে পারে এবং বাজারেও বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। একটি স্বাস্থ্যসম্মত প্লাস্টিক বোতল সোলার ল্যাম্পের দাম মাত্র ৩ ডলার।


সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

মিনি ইনস্ট্যান্ট প্রিন্টার

ফুজিফিল্ম কোম্পানি The Instax Share SP-2 নামক একটি মিনি পকেট প্রিন্টার তৈরি করেছে যা স্মার্টফোন দিয়ে তোলা ছবি সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্ট করতে পারে। ইনস্ট্যান্ট প্রিন্টারটি দেখতে জুস বক্সের মতো। এটি খানিকটা পুরু হলেও অনেক পাতলা। ইনস্ট্যান্ট প্রিন্টারটি ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে মোবাইল থেকে মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ছবি প্রিন্ট করতে পারে। ইনস্ট্যান্ট প্রিন্টারটিতে আছে ৩ কালার ওএলইডি প্রিন্টিং মেশিন। ৮০০ x ৬০০ রেজোলিউশান ও ৩২০ ডিপিআই প্রিন্টারটিকে সত্যিই আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রিন্টারটি পিএনজি ও যেপিজি উভয় ফাইলই সাপোর্ট করে। ইনস্ট্যান্ট প্রিন্ট করার জন্য কতগুলো শট আছে তা প্রিন্টারটির উপরে অবস্থিত ১০টি এলইডি ডট এর মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। এতে আছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ও মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল। প্রিন্টারটি ১ চার্জে মোট ১০০ বার প্রিন্ট করতে পারে। রিয়েল টাইম ও সোশাল মিডিয়া টেমপ্লেট ব্যবহারের মাধ্যমেও এতে প্রিন্ট করা যায়। ইনস্ট্যান্ট প্রিন্টারটি ১৯৯ ডলার মূল্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।  

রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬

ইলেক্ট্রিক ফোলডিং বাইসাইকেল

চাইনিজ কোম্পানি Xiaomi ও একটি তাইওয়ানিজ কোম্পানির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খুব শিগ্রী চায়নার বাজারে আসছে ইলেক্ট্রিক ফোলডিং বাইসাইকেল। এই ইলেক্ট্রিক ফোলডিং বাইসাইকেলের নাম হছে Mi QiCycle। ফোলডিং বাইসাইকেলটি কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি এবং এর ওজন ১৪.৫ কেজি। প্রধান বীম ও টায়ার বাদে সাইকেলটির বাকি অংশ ভাঁজ করা যায়। ফোলডিং সাইকেলটি ২৫০ ওয়াট ৩৬ ভল্ট হাই স্পীড ইলেক্ট্রিক মোটর দ্বারা পরিচালিত। এতে আছে টোর্ক-সেন্সিং ক্ষমতা যা ব্যবহারকারীর প্যাডেলিং ও টোর্কের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। সাইকেলের ইলেক্ট্রিক মোটর মোট ২০টি প্যানাসনিক লিথিয়াম-আয়ন ২৯,০০০ মাহ ব্যাটারির সাহায্যে কাজ করে। সাইকেলটি ১ বার চার্জে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। তাছাড়া একটি অ্যাপ ব্যবহার করে সাইকেলটি স্মার্টফোনের সাথে সংযোগ সাধন করতে পারে। এই অ্যাপের মাধ্যমে জিপিএস নেভিগেশন ও রিয়েল-টাইম ফিটনেস প্যারামিটার পরিমাপ করা যায়। এই ইলেক্ট্রিক ফোলডিং সাইকেলটির মূল্য ৪৫৫ ডলার।

বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬

প্রতিদিন ১টি কাঁচা মরিচের ১৩টি স্বাস্থ্য উপকারিতা


যাদের ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মরিচকে ঝাল বানায় এর বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইকিন। কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।

ঝাল স্বাদের সব্জিগুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দেখে নিন কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো।

কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা:

• গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।

• প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।

• নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।

• কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।

• কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।

• নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

• কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।

• কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।

• কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।

• নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।

• প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।

• কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী।

• কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর


বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ যাদুঘর। মূলত ১৯১৩ সালে এটি ঢাকা জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, পরে ১৯৮৩ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর। প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী যাদুঘরটি দেখতে আসে।
বৃহদায়তন ৪ তলা ভবনে শুধু বৃহৎ প্রদর্শনী হলই নয় বরং ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, তিনটি অডিটোরিয়াম, আলোকচিত্র গ্যালারি, অস্থায়ী প্রদর্শনী হল এবং একটি অডিও ভিজুয়াল বিভাগ আছে। চিত্রকলার আকর্ষণীয় সংগ্রহের মধ্যে পর্যটকরা পাবে প্রাচীন নিদর্শনাদি ও শতাব্দীর পুরনো ঐতিহ্য যা বাংলাদেশের সৃষ্টিকে জাগ্রত করে। হস্তনির্মিত কিছু ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে পোড়ামাটির টুকরা, জল রং অঙ্কন, চীনামাটির বাসন, ধাতু কাজ, অস্ত্র ও মধ্যযুগীয় অস্ত্রাগার, কাঠের আসবাবপত্র, জীবাশ্ম ও ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনীতে দেশের ইতিহাসে প্রত্যনুসরণ হয় এবং প্রাচীন জগৎ সম্পর্কে জানা যায়। যাদুঘর কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনেক সেমিনার ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয় যেখানে হারিয়ে যাওয়া বিশ্ব সম্পর্কে নানান প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় এবং সাধারণ জনগণকে অবহিত করা হয়। বাংলদেশ জাতীয় যাদুঘর সত্যিই একটি অসাধারণ আকর্ষণ।

প্রবেশ ফি
বাংলাদেশের নাগরিক ২০ টাকা
সার্কভুক্ত দেশগুলোর নাগরিক ২০ টাকা
অন্যান্য ১০০ টাকা

প্রবেশের সময়সূচী
এপ্রিল-সেপ্টেম্বর
শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০.৩০ থেকে বিকাল ৫.৩০ পর্যন্ত
শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে ৮টা পর্যন্ত
অক্টোবর থেকে মার্চ
শনিবার থেক বুধবার সকাল ৯.৩০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত
শুক্রবার দুপুর ২.৩০ থেকে রাত ৭.৩০ পর্যন্ত

রমযান
শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯.৩০ থেকে দুপুর ৩ টাপর্যন্ত

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

নকিয়া ফোন আবার ফিরে আসছে

নকিয়া তবে ফিরেই এলো! এক সময়ে প্রবল প্রতাপে রাজত্ব করা নকিয়া ঘোষণা করেছে যে, তারা ফোন, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নিয়ে শীঘ্রিই প্রত্যাবর্তন করছে। আর নিঃসন্দেহে তাদের ফোনগুলি হবে অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট। 

ফিনল্যান্ডে এইচএমডি নামে একটি নতুন কোম্পানি গঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে কোম্পনিটির দায়িত্ব নিচ্ছেন আর্তো ন্যুমেলা। তিনি পূর্বে নকিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন এবং বর্তমানে মাইক্রোসফট কোম্পানির ফোন ডিভিশনের ব্যবস্থাপনা দেখছেন। 

নতুন কোম্পানি এইচএমডি নকিয়াকে নিয়ে আলোচনা করবে এবং এই ব্র্যান্ডটি কেমন করে কী মানে কাজ করবে তা নির্ধারণ করবে যেন তা ক্রেতা সাধারণের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ তারা মানসম্মত, সুন্দর ডিজাইনের ক্রেতা-বান্ধব ফোন তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। 

এইচএমডি আগামী ৩ বছরে নকিয়ার নাম পুনোরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক বাজারে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। কারণ উৎপাদন না থাকায় নকিয়া নামটির উপরে বিগত বছরগুলিতে ধুলার স্তর জমে গেছে। আর এ সময় তা পরিষ্কার করা জরুরী। 

অন্যদিকে ফক্সকনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলো এফআইএইচ মোবাইল লিমিটেড। এই কোম্পানি ২০১৬ এর মাঝামাঝিতে মাইক্রোসফটের কাছ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নকিয়া ফোনের স্বত্ব ফিরে পাবে। 

কোম্পানিটি একই সাথে ভিয়েতনামের মাইক্রোসফট মোবাইলের দখলও পেয়ে যাবে। এই কোম্পানিটিতে ৪,৫০০ কর্মী কর্মরত আছেন। এই কর্মীবৃন্দই নকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন তৈরি করে থাকেন। 

নকিয়া সম্প্রতি এফআইএইচ এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে এই কোম্পানি বিশ্বব্যাপি নকিয়া ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেটের ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা প্রদানের জন্যে একটি যৌথ অবকাঠামো গড়ে তুলবে। 

আপনাদেরকে নকিয়া ফোন ও ট্যাবলেটগুলি দেখতে কেমন হবে তা জানতে একটু লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

ঘুরে আসুন গৌর গোবিন্দ দুর্গ

গৌর গোবিন্দ দুর্গ সিলেটের শৈলপ্রান্তে, চৌহাত্তা নামক শহরে অবস্থিত। এটি রাজা গৌর গোবিন্দর প্রতি তার সাহসী সৈনিকদের করা অবাধ্যতার প্রমাণ হিসেবে গড়ে উঠেছে। জায়গাটি প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। যদিও বর্তমানে এই পর্যটন স্থানে শুধুমাত্র অবশিষ্টাংশ দেখা যায় কিন্তু তবুও তা যথেষ্ট মনমুগ্ধকর। দুর্গটি নিঃসন্দেহে পর্যটকদের হাজার হাজার বছর পূর্বে নিয়ে যায়। দুর্গটি এই অঞ্চলের স্মরণীয় প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। প্রতি বছর প্রচুর দর্শনার্থী দুর্গটির শৈল্পিক কারুকার্য উপভোগ করার জন্য আসে। 

কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন বা বিমানে দুর্গটিতে যাওয়া যায়। কমলাপুর থেকে সিলেটের উদ্দেশে অনেক বাস ছেড়ে যায়। সিলেট পৌঁছানর পর কদমতলি বাস স্ট্যান্ডে যেতে হবে। এখান থেকে সরাসরি বাসে করে দুর্গটিতে পৌঁছানো যায় যা সিলেট সদর থেকে ১-২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আবাসন ও খাদ্যঃ
সিলেট সদরে অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। বেশির ভাগই মাজার রোডে অবস্থিত। কম খরচে যেকোনো স্থানীয় ও বিদেশী খাবার এখানে পাওয়া যায়। হোটেল হলি গেট, হোটেল গোল্ডেন সিটি এগুলোর মধ্যে অন্যতম।

বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬

কি কারনে স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়? এটা কি স্বাভাবিক? প্রতিকার জেনে নিন।

আজকাল প্রায় সবধরনের ফোন এ, সে ফোন Android হোক আর Apple হোক আর উইন্ডোজ ফোন হোক কিংবা সস্তা বা দামী। একটি সমস্যা কিন্তু লেগেই থাকে, তা হলো অত্তাধিক গরম হওয়া। আপনার ফোন এর সাথে যদি এমনই কোনো সমস্যা ঘটে থাকে তবে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আজ আমি বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করবো, যেমনঃ কেনো স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়? স্মার্টফোন গরম হওয়াটা কি স্বাভাবিক? এবং অত্তাধিক গরম হওয়া থেকে আপনার স্মার্টফোনটিকে কীভাবে রক্ষা করবেন?

স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়ার কারন সমূহঃ

দেখুন যদি গরম হওয়ার কথা বলি তবে বলতেই হয় যে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি বা মেশিন ই গরম হয়। উদাহরণ সরূপ আপনার গাড়ি, কম্পিউটার ইত্যাদি সব কিছুই গরম হওয়া থেকে বিরত নয়।গাড়ি ঠাণ্ডা রাখতে পানি ঢালা হয়, কম্পিউটার ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যান ব্যবহার করা হয় তাছাড়া এর ভেতর HeatSheild থাকে। তো আসলে বলতে পারেন স্বাভাবিক ভাবে স্মার্টফোন একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র হওয়ার কারনে এটি গরম হয়। তারপরও আমি আপনাদের সব কিছু খুলে বলবো। তো চলুন জেনে নেয় স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়ার কারন সমূহ।

প্রসেসরঃ   স্মার্টফোন গরম হওয়ার জন্য প্রথম যে দায়ী তা হলো প্রসেসর। প্রসেসর আপনার ফোন এর প্রধান অঙ্গ সরূপ। যে আপনার ফোন এর প্রতিটি কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই বা করেন প্রসেসর কিন্তু সবসময় চলতে থাকে এবং তার কাজ করতে থাকে। আর এই প্রসেসর নির্মাণ করা হয় অর্ধপরিবাহী পদার্থ দিয়ে। এবং এর ভেতর অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র  ইলেকট্রন থাকে। যখন প্রসেসর তার কাজ করে তখন এই ইলেকট্রন গুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে (সহজ ভাষায়)। এবং এই দৌড়াদৌড়ি করার সময় ইলেকট্রন গুলো নিজেদের ভেতর সংঘর্ষ ঘটায় এবং তাপ উৎপাদন করে। অর্থাৎ আপনার প্রসেসর যত বেশি কাজ করে তাপ ও ততো বেশি উৎপাদন হয়। আপনি যদি কম কাজ করেন, যেমন ধরুন শুধু ফোন এ কথা বলছেন, কিংবা মিউজিক শুনছেন তবে আপনার ফোনটি কম গরম হবে। কিন্তু মনে করেন আপনি গেম খেলছেন এবং একসাথে ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল ও ডাউনলোড করছেন, তবে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ফোন এর প্রসেসর কে বেশি কাজ করতে হবে এবং যার ফলে বেশি গরম হবে আপনার স্মার্টফোনটি। আজকাল কার স্মার্টফোন গুলো দিন এর পর দিন চিকন হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রসেসর এর দ্বারা উৎপন্ন তাপ আপনার ফোনটি চিকন হওয়ার কারনে বের হতে পারে না। এবং লক্ষ করলে দেখা যাবে যে আপনার ফোন এর প্রসেসরটি ফোন বডির সাথেই লেগে থাকে, যার ফলে খুব তারাতারি এবং অত্যাধিক গরম অনুভূত হয়।

অত্যাধিক লোডঃ   আমি আগেই বলেছি অত্যাধিক লোড ফেললে আপনার ফোনটি দ্রুত এবং বেশি গরম হবে। স্বাভাবিক কাজ যেমন ফোন এ কথা বলা, এসএমএস সেন্ড করা বা গান শোনার মত ছোট কাজ এ কম গরম হবে আপনার ফোনটি। কিন্তু আপনি যখন অনেক গুলো কাজ এক সাথে করবেন বা কোনো বড় কাজ করবেন তখন আপনার ফোনটি অত্যাধিক লোড এর সম্মক্ষিন হবে এবং স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হবে।

ব্যাটারিঃ   স্মার্টফোন গুলো দিনদিন চিকন হয়েই চলছে। কিন্তু ব্যাটারি প্রযুক্তিতে তেমন একটা বিশেষ উন্নতি আনা হচ্ছে না। তারপর ফোনটি অনেক চিকন হওয়ার কারনে  যন্ত্রপাতি গুলোর একে অপরের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব থাকে না। ব্যাটারি চার্জ বা ডিসচার্জ হওয়ার সময় কম বেশি গরম হয়েই থাকে। আর যন্ত্রপাতি গুলোর একে অপরের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব না থাকার ফলে এই ব্যাটারির গরম সব দিকে ছড়িয়ে পরে এবং আপনার স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে পরে।

পরিবেষ্টিত তাপমাত্রাঃ   স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম, হওয়ার আরেকটি বড় কারন কিন্তু পরিবেষ্টিত তাপমাত্রা হতে পারে। সাধারন ভাবে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ৩৫-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায়। এই পরিবেশে আপনি ঘরে বসে থাকলেও আপনার আসেপাশের তাপমান থাকে প্রায় ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই তাপমান এর ভেতর আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করলে এটি আরো তাড়াতাড়ি গরম হয়ে পরবে।

দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগনালঃ    মনে করুন আপনি এমন এক জায়গায় আছেন, যেখানে নেটওয়ার্ক সিগনাল খুব দুর্বল। অথবা আপনার ওয়াইফাই সিগনাল অনেক কষ্টে আপনার স্মার্টফোন অবধি আসছে। এই অবস্থায় আপনার স্মার্টফোন এ বেশি চার্জ খরচ হয়। দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগনাল পাওয়ার জন্য আপনার ফোনটি অ্যান্টেনাতে বেশি পাওয়ার প্রয়োগ করে, যাতে ফোনটি ভালো সিগনাল ধরতে পারে। এতে স্মার্টফোনটির প্রসেসরকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এবং স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে পরে।

কতটা গরম হওয়া স্বাভাবিক এবং কতটা গরম হওয়া অস্বাভাবিকঃ

এখন চলুন কথা বলি স্মার্টফোন স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক গরম হওয়া নিয়ে। স্বাভাবিক অবস্থায় কাজ করতে করতে আপনার স্মার্টফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হতে পারে। আর বিশ্বাস করুন এটা শুধু আপনার ফোন এর ক্ষেত্রে না, বরং সবারই গরম হয়। আপনার ফোনটি কম দামী বলেই যে বেশি গরম হচ্ছে, তা কিন্তু মতেও ঠিক নয়। স্যামসাঙ বলুন আর অ্যাপেল, সব ফোনই কিন্তু গরম হয়।

তবে হাঁ, আপনি যদি লক্ষ্য করে দেখেন যে আপনার ফোনটি সবসময়ই ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম থাকছে। এমন কি যখন আপনার ফোনটি স্ট্যান্ড-বাই মোড এ থাকে তখনও, তবে আপনার ফোন এ সমস্যা আছে।

স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়াতে কি কি অসুবিধা হতে পারেঃ


কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়াঃ স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়াতে আপনার ফোন এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। দেখুন স্মার্টফোন এর প্রসেসরকে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে এটি বেশি গরম হয়ে পরলে কাজ করা কমিয়ে দেয়, যাতে এটি ঠাণ্ডা হতে পারে। আর প্রসেসর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করা কমিয়ে ফেলার জন্য আপনার স্মার্টফোন এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

অত্যাধিক গরম হওয়া থেকে স্মার্টফোনকে কীভাবে রক্ষা করবেনঃ

স্মার্টফোনে বেশি কাজ করা যাবে না বা বেশি গেম খেলা যাবে না, আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। অত্যাধিক গরম হওয়া থেকে স্মার্টফোনকে বাচাতে চাইলে আপনার ফোন এর সফটওয়্যার গুলো কে আপডেট রাখুন। অনেক সময় ফোন এর সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সমকক্ষতা রাখতে বার্থ হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। নিয়মিত অনুসন্ধান করে দেখুন যে কোন কোন অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ড এ বেশি জায়গা নিচ্ছে। সে অ্যাপস গুলো সনাক্ত করে অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে রাখুন।

উপসংহারঃ

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনারা খুব উপভোগ করেছেন। আপনাদের কাছে যদি স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়ার আরো কোনো কারন থাকে কিংবা কীভাবে অত্যাধিক গরম হওয়া থেকে স্মার্টফোনকে কীভাবে রক্ষ্যা করা যায় যে বিষয়ে আরো ধারণা থাকে তবে কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।


কীভাবে ফেসবুকে বেশি লাইক পাবেন?

ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও ছবি দিয়ে সেগুলোয় কত লাইক পড়ল, সেটা কমবেশি সব ব্যবহারকারীই খেয়াল করেন। আবার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বেলায় লাইকের ওপর রীতিমতো ব্যবসাটাও নির্ভর করে। ফেসবুকে কী ধরনের স্ট্যাটাস, পোস্ট কিংবা ছবি দিলে বেশি লাইক পাওয়া যায়?

‘কিসমেট্রিকস’ নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছে। তার ফলাফল দেখে নিন এক নজরে—
কী পোস্ট করছেন সে বিষয়ে নজর দিন



স্ট্যাটাস বা পোস্টের ধরন
ছবি দিলে সাধারণত ৫৩ শতাংশ বেশি লাইক পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১০৪ শতাংশ কমেন্টস এবং ৮৪ শতাংশ লাইক পাওয়া যায় ছবিভিত্তিক স্ট্যাটাসে।

৫৩ শতাংশ বেশি লাইক
১০৪ শতাংশ বেশি কমেন্টস
৮৪ শতাংশ লাইক

লেখার আকার
৮০ বা এর চেয়ে কম শব্দের
মধ্যে পোস্ট দিলে ৬৬ শতাংশ সম্পৃক্ততা বাড়ে।

বিষয়বস্তু
প্রশ্নভিত্তিক স্ট্যাটাস বা পোস্টে শতভাগ বেশি কমেন্টস পাওয়া যায়।

প্রতিদিন এক-দুবার পোস্ট করলে ৪০ শতাংশ বেশি ব্যবহারকারীকে সম্পৃক্ত করা যায়।

সাপ্তাহিক লেখা
সপ্তাহে এক থেকে চারবার
পোস্ট করলে ৭১ শতাংশ বেশি
সাড়া পাওয়া যায়।


মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

ডাউনলোড করে নিন বিপদের বন্ধু স্বরূপ এন্ড্রয়েড অ্যাপ


কম বেশি বিপদে পড়েননা এমন মানুষ দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বিশেষ করে আমাদের দেশের মেয়েরা যে খুব বেশি নিরাপত্তাহীনতার মাঝে জীবন যাপন করে যাচ্ছে, তা কম বেশি সবারই জানা। সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়। এমন নিরাপত্তাহীনতার মাঝে যেকোন সময় পুলিশ অথবা র‍্যাবের সাহায্য আমাদের সবারই দরকার হতে পারে। আজকে আপনাদের এমনই একটা আপের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সবচেয়ে নিকটস্থ থানা এবং র‍্যাব অফিসের অবস্থান সহ ফোন নাম্বার পেয়ে যাবেন। শুধু মাত্র একটা ক্লিকেই ফোন চলে যাবে নিকটস্থ থানা অথবা র‍্যাব অফিসে। অ্যাপটির নাম Safety Call.

এখন আসি কিভাবে এই ছোট্ট সহজ অ্যাপটি ব্যবহার করবেন তা নিয়ে। অ্যাপটি ওপেন করলেই আপনার ফোনের Location যদি enable করা না থাকে তবে নিচের মত একটি পপআপ আসবে।

Yes বাটনে ক্লিক করলে আপনার ফোনের GPS enable হয়ে যাবে। আর অ্যাপটি সরাসরি আপনার বর্তমান Location সহ নিকস্থ থানা ও র‍্যাব অফিসগুলোর অবস্থান সহ ফোন নাম্বারগুলো দেখিয়ে দিবে ঠিক নিচের ছবিটির মত করে।
এখানে নীল রঙের মার্কারটা হচ্ছে ব্যবহারকারীর অবস্থান আর লাল মার্কারগুলো হচ্ছে নিকস্থ থানা ও র‍্যাব অফিসগুলোর অবস্থান। প্রত্যেকটি সাদা মার্কার window তে থানার নাম, আপনার অবস্থান থেকে থানার দূরত্ব, থানার ওসির ফোন নাম্বার, এবং থানার ঠিকানা দেখাবে। এখন কেবল Click to call লেখা সাদা window টার উপর ক্লিক করলেই কল চলে যাবে ওই থানার ওসির কাছে। অ্যাপটিতে দেয়া প্রত্যেকটি ফোন নাম্বারই ভেরিফাই করা পুলিশ ও র‍্যাবের নিজস্ব ওয়েব সাইট থেকে নেয়া।

এছাড়াও ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য রয়েছে ডিফারেন্ট ভিউ তে ম্যাপের অবস্থান দেখার সুব্যবস্থা।
আছে স্যাটেলাইট ভিউ।

আরো আছে স্ট্রিট ভিউ।
আর হ্যাঁ, Safety Call অ্যাপটি বাংলাদেশের যেকোন যায়গা থেকে ব্যবহার করা যাবে।

বিপদের সঙ্গী চমৎকার এই অ্যাপটি নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে এখনি ডউনলোড করে নিন।






সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

স্মার্টফোন গরম হওয়ার কারন এবং প্রতিকার


আজকাল আমরা সকলেই স্মার্টফোন ব্যবহার করি। তবে এই সকল স্মার্টফোনের অন্যতম একটি সমস্যা হল এগুলো অনেক সময়ই ব্যবহারের মাঝখানে খুবই গরম হয়ে যায়। দামি কিংবা কমদামি ফোন নয়, সকল ফোনেই এই সমস্যাটি দেখা যায়। স্মার্টফোন গরম হওয়ার বেশ কিছু কারনও আছে। আপনি যখন সাধারনভাবে ফোনে কথা বলবেন কিংবা মিউজিক শুনবেন তখন ফোন তেমন একটা গরম হবে না। কিন্তু যখন আপনি ফোনে গেইম খেলবেন বা ইন্টারনেট থেকে কিছু ডাউনলোড করবেন তখনই আপনার স্মার্টফোনটি গরম হয়ে যাবে। এর কারন হল আপনি যখন ফোনে এই সকল কাজগুলো করবেন তখন ফোনের প্রসেসরকে একটু বেশি কাজ করতে হয় যার ফলে প্রসেসর গরম হয়ে যায়। আর এই প্রসেসরই হল ফোন গরম হওয়ার অন্যতম একটি কারন। অনেক সময় অতিরিক্ত সময় ধরে ফোন ব্যবহারের ফলে ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আশেপাশের তাপমাত্রাও ফোন গরম হওয়ার কারন হয়ে দাড়ায় অনেক সময়। সাধারণত ফোন এর তাপমাত্রা ৩৫ - ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকে তাহলে এটি স্বাভাবিকই যায়। কিন্তু ফোনটি যদি স্ট্যান্ড-বাই মোডেও গরম হয় তাহলে আপনার ফোনে অবশ্যই কোন একটি সমস্যা আছে।
গরম হওয়া রোধেঃ স্মার্টফোনে একসঙ্গে অনেকগুলো অ্যাপস চালু করবেন না। ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস চলতে থাকলে সেগুলো বন্ধ করে দিন। ফোন চার্জে দিয়ে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। তাপমাত্রা বেশি থাকে এইরকম স্থানে ফোন রাখবেন না। যদি ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় তাহলে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রেখে দিন।

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

কম্পিউটার ক্রাস হওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য কারন


আধুনিক যুগে প্রায় সকলের বাড়িতেই ডেক্সটপ পিসি বা ল্যাপটপ দেখতে পাওয়া যায়। আর পিসির বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পিসি ক্রাস একটি অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যার সম্মুখে  কম বেশী সকলেই পড়ে থাকে। সেজন্য এ সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য আপনাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস নিচে দেয়া হলো। এগুলো অনুসরন করলে আমরা আমাদের পিসিকে ক্রাস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।



Hardware conflict

হার্ডওয়ার এর সংঘর্ষ আবার কি ? উইন্ডোজ ক্র্যাশ করার এটাই প্রধানত কারণ। এক হার্ডওয়ার ডিভাইস অন্য আরেক হার্ডওয়্যার ডিভাইসের সাথে কমিউনিকেট করে এক ধরনের চ্যানেলের মাধ্যমে, যাকে বলে Interrupt request channel (IRQ)। এবং এই IRQ প্রতিটি ইউনিক হতে হবে। মানে একটি IRQ আরেকটি IRQ থেকে ভিন্ন হতে হবে। যেমন : প্রিন্টার সাধারণত কানেক্ট হয় যে চ্যানেলে তা হচ্ছে IRQ 7, কীবোর্ড কানেক্ট হয় IRP 1 এবং ফ্লপি কানেক্ট হয় IRQ 6 চ্যানেলগুলিতে। এই ডিভাইসগুলি চেষ্টা করে নিজেদের জন্য ইউনিট চ্যানেল তৈরি করতে।

যদি এখানে অনেক বেশি ডিভাইস থেকে থাকে, অথবা এই ডিভাইসগুলি সঠিকমত ইন্সটল করা না থাকে তাহলে তাদের ভিতরে দুই বা ততোধিক ডিভাইস একই IRQ শেয়ার করে থাকে। যখন ইউজার চেষ্টা করে উভয় ডিভাইসকেই একই সময় ব্যবহার করতে, ঠিক তখনই কম্পিউটার ক্র্যাশ করে।

নিশ্চিত হবার উপায় হচ্ছে যদি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট হয়ে থাকে তাহলে Start -> Settings -> Control Panel -> System -> Device manager এ গিয়ে দেখা যাবে কোন কোন হার্ডওয়্যারের পাশে হলুদ আইকন ‘!’ এসে বসে আছে। সেই হার্ডওয়্যারটিতে ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গেলে দেখা যাবে IRQ নাম্বারটি যা সেই ডিভাইসটি ব্যবহার করছে এখন। যদি এই নাম্বার দুইবার হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে হতে পারে দুইটি ডিভাইস এই নম্বরটি ব্যবহার করছে।

এই সমস্যা হলে যা করতে হবে :



ডিভাইস ম্যানেজারে গিয়ে সেই সমস্যাপূর্ণ ডিভাইসটি বা ডিভাইসগুলি আনইন্সটল করে আবার ইন্সটল করতে হবে। কোন কোন সময় ড্রাইভারগুলি আপডেট দিতে হতে পারে। ড্রাইভার সংগ্রহে না থাকলে নিচের লিংক থেকে চেষ্টা করা যেতে পারে –

http://download.cnet.com/windows/drivers.

যদি ডিভাইসটি হয়ে থাকে সাউন্ড-কার্ড অথবা, মডেম তাহলে সেগুলি খুলে মাদারবোর্ডের অন্যকোন স্লটে লাগিয়ে দেখা যেতে পারে। যখন কম্পিউটার এর ভিতরে কাজ করা হবে (অর্থাৎ কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার খুলার সময়) অবশ্যই সুইচ অফ করে নিতে হবে।

Bad Ram

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাপারটি কি হতে পারে। RAM এর সমস্যার কারণেও এই BSOD বা ব্লু-স্ক্রিন-জনিত সমস্যা হতে পারে এবং ম্যাসেজ আসতে পারে “Fatal Exception Error.”। ফ্যাটাল ইরোর গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার সমস্যা দেখায়। কোন কোন সময় এই ইরোর বুঝায় যে, কোন একটি অংশ ভাঙ্গা আছে এবং রিপ্লেস করার প্রয়োজন।

কিন্তু এই RAM এর জন্য যে Fatal ইরোর আসে তার কারণ হতে পারে র‍্যামটি/র‍্যামগুলি ঠিক মত match করে নাই অর্থাৎ mismatch হয়েছে। যেমন : র‍্যামের বাস-স্পিড রয়েছে যা মাদারবোর্ডের বাস-স্পিডের সাথে মিলতে হবে। যদি না মিলে তাহলে ফ্যাটাল ইরোর আসবে। এই সমস্যার সমাধানে জন্য, সঠিক বাস-স্পিডের র‍্যাম মাদারবোর্ডে লাগাতে হবে। এবং একাধিক র‍্যাম থাকলে সমস্যা-ওয়ালা র‍্যামটি ডিটেক্ট করে সেটা খুলে ফেলতে হবে। এছাড়াও RAM এর Wait State নামক একটি ফাংশন আছে যা বায়োস এ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সেই ফাংশনটি BIOS Settings এ গিয়ে বাড়িয়ে দিতে হবে প্রয়োজন হলে। তাহলে আশা করা যায় এই সমস্যার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

BIOS settings

প্রতিটি মাদারবোর্ডের সাথে চীপসেট সেটিংস দেয়া থাকে যা ফ্যাক্টরি থেকেই ডিফল্ট সেটিংস দিয়ে রাখে। এই সটিংস এ প্রবেশ করার জন্য কম্পিউটার বুট করার সময় কীবোর্ডের F2 অথবা, Delete বাটন চাপতে হবে। একবার বায়োসে প্রবেশ করলেই অতিরিক্ত সাবধানতার সাথে সেই সেটিংস কন্ট্রোল করতে হবে।

একটি কমন BIOS error হচ্ছে CAS latency যা RAM কে রেফার করে। পুরাতন র‍্যাম এর তিনটা CAS latency থাকে আর নতুন SDRAM এ থাকে ২টি। এই অপশন যদি কোন কারণে ভুল হয়ে থাকে তাহলে RAM লক হয়ে যেতে পারে অথবা, কম্পিউটার এর ডিসপ্লে ফ্রিজ হয়ে যেতে পারে। যদি সম্ভব হয় তাহলে বায়োসে গিয়ে IRQ নম্বর সেটিংস অটো করে দিয়ে রাখাই ভালো।

Hard disk drives

এক মাস পর পর হার্ডডিস্ক ড্রাইভ এর তথ্যগুলি ফ্র্যাগমেন্ট করা উচিত। Screen Freeze জনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এটা অনেক কার্যকর। উইন্ডোজ এর Start -> Programs -> Accessories -> System Tools -> Disk Defragmenter এ গিয়ে রান করাতে হবে। এটা উইন্ডোজ এ ডিফল্টই দেয়া থাকে।

এই ডিফ্রাগমেন্ট চলাকালীন ভালো হয় পিসিতে কাজ না করা। তাই শিডিউল সেট করে রক্ষা যেতে পারে কবে, কখন এই প্রসেসটা হবে। আর এই জন্য Windows এর Task Scheduler টা ব্যবহার করতে হবে।

হার্ডডিস্

মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬

যেভাবে ঘুষ ছাড়া পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন


বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশের বাইরে ভ্রমণের জন্য সরকার পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে। বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আবেদনের প্রেক্ষিতে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। এই পাসপোর্ট সংগ্রহ ক রতে গিয়ে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়, এ নিয়ে পাঠকদের জন্য রয়েছে পরামর্শ।



অনলাইনে পাসপোর্টের ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে ফরম জমা দিয়ে ছবি তুলতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, তাও আবার ঘুষ ছাড়াই। জেনে নিই কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়।

১ম ধাপঃ

অনলাইনে ফরমটি ফিলআপ করুন এবং প্রিন্টআউট নিন।

২য় ধাপঃ

পাসপোর্টের ফরমটি, আপনার ন্যাশনাল আইডি এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে) সত্যায়িত করে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান।

৩য় ধাপঃ

পাসপোর্ট অফিসের পাশে সোনালী ব্যাংক এ । জরুরী পাসপোর্ট করতে চাইলে ৬০০০ টাকা আর সাধারণভাবে করতে চাইলে ৩০০০ টাকা জমা দিন। রশিদটি আঠা দিয়ে ফরর্মের উপর সংযোজন করুন।

৪র্থ ধাপঃ

এবার পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ফরমটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। তারা আপনার ফরমের উপর স্বাক্ষর করে একটি সিরিয়াল নম্বর লিখে দিবে।

৫ম ধাপঃ

এবার সরাসরি চলে যান উপ কমিশনারের রুমে এবং তাকে দিয়ে ফরমটি ভেরিফাই করিয়ে নিন। এখানে থেকে ভেরিফিকেশন করার পর পাঠিয়ে দিবে পাশের কাউন্টারের রুমে ছবি তুলতে।

৬ষ্ঠ ধাপঃ

ছবি তুলতে সোজা এই কাউন্টারে গিয়ে আপনার ফরমটি জমা দিন। সেখানে অফিসার আপনার ছবি তুলবে, আঙ্গুলের ছাপ ও স্বাক্ষর নিবে এবং তারপর আপনাকে রশিদ ধরিয়ে দিবে। সেটা ভালো করে চেক করে রুম থেকে বেরিয়ে আসুন।

ব্যস… আপনার ফরম জমা দেয়া শেষ। যেদিন পাসপোর্ট দেয়ার তারিখ, সেদিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

মনে রাখবেনঃ

১. অবশ্যই বাসা থেকে সত্যায়িত করে নিয়ে যাবেন।

২. NID এর সত্যায়িত ফটোকপি এবং পুরানো পাসপোর্টের (যদি থাকে) ফটোকপি নিয়ে যাবেন।

৩. সাদা কাপড় পড়ে ছবি তোলা যাবে না।

৪. অনলাইন পাসপোর্টের অফিসিয়াল নির্দেশনা ২০১৩ অবলম্বনে

৫. অনলাইনে ফরমটির জন্য এই পেইজে ক্লিক করুনhttp://www.passport.gov.bd/

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

ট্রাভেল ফটোগ্রাফী টিপস, যা জেনে রাখা উচিত!

ট্রাভেল ফটোগ্রাফী টিপস, যা জেনে রাখা উচিত!

১. সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠুন
স্বাভাবিক ভাবে ভোর বেলায় সূর্য ওঠার পর থেকে ১ ঘন্টা এবং সূর্য ডোবার ১ঘন্টা আগে থেকে সময়টাকে বলা হয় Golden hours (যদিও বিষয়টা আপনি পৃথিবীর কোথায় আছেন তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে)। এই সময়ের মধ্যে ছবি তুললে স্বাভাবিক ভাবে আপনি সুন্দর ছবি পাবেন।
২. কিছু রিসার্চ করুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থান সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নিয়ে যাওয়া ভাল। স্বাভাবিক ভাবে কোথাও যাবার আগে ঐ স্থানের নাম দিয়ে সার্চ দিলে আপনি প্রচুর তথ্য এবং ছবি পাবেন যা আপনাকে অনেক বিষয়ই সহজ করে দিবে। আর ঐ স্থানে পৌছেও একটু খোঁজ খবর নিন।
৩. নিজের জিনিষ পত্র সম্পর্কে জানুন
কোন স্থানে যাবার আগেই আপনি ঐখানে ফটোগ্রাফীর জন্য যা যা নিচ্ছেন, তা সম্পর্কে জানুন। বাড়ি থাকতে থাকতেই জিনিষ সম্পর্কে জানা উচিত, যাতে করে আপনি আপনার ভ্রমণের সম্পূর্ণ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন।
৪. থাকার যায়গা
ভ্রমণের সময় থাকার জায়গা একটা বড় বিষয়। যেই স্থানে যাচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবে যদি আপনি ঐ স্থানের সেন্টারে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকতে পারেন, তাহলে ভাল হয়। এছাড়া যদি সম্ভব হয়, তাহলে ভাল ভিউ আছে এমন একটা হোটেলে থাকতে পারেন। আর কোন স্থানে যদি খোলা আকাশের নিচে তাবুঁ টানিয়ে রাত থাকার মত অবস্থা থাকে, তাহলেতো কথাই নেই।
৫. Hello বলা শিখুন
কোন স্থানে গেলে ঐ স্থানে মানুষ একজন আর একজনকে কি ভাবে সম্ভাষণ জানায় তা শিখে নেওয়া একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়।
৬. দেখুন, পড়ুন ও শুনুন
কোন স্থানে যাবার আগে ঐ স্থানের ছবি যেমন দেখা উচিত, তেমন ঐ স্থানের সম্পর্কে পড়াও অনেক গুরুত্ব পুর্ণ। আর মানুষ কি বলে সেটা শোনাও গুরুত্বপূর্ণ।
৭. জায়গাটাকে উপলব্ধি করুন
পৃথিবীর প্রত্যেকটা জায়গার একটা স্বকীয়তা আছে। সেই স্বকীয়তাটাকে উপলব্ধি করতে পারাটাই মূল বিষয়। ধরেন আপনি কোন ধর্মিয় পবিত্র জায়গায় গিয়েছেন, আর সেখানে এমন একটা ড্রেস পরলেন যা ঐ স্থানের সাথে মিলে না। তখন আপনি যেমন বিব্রত বোধ করবেন আশেপাশের মানুষও তেমন বিব্রত বোধ করবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার জায়গা গুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই জিনিষটা বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ।
৮. একজন বন্ধু জোগাড় করুন
খুব স্বাভাবিক ভাবে কোথাও গেলে আপনি যদি একটু বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারবেন।
৯. অল্প জিনিষ নিয়ে ভ্রমণ করুন
ভ্রমণের সময় সাথে সব সময় অল্প জিনিষ পত্র নেওয়াটাই ভাল। হয়ত আপনি প্রচুর জিনিষ নিয়েই যাবেন, কিন্তু হোটেলে তা রেখে তারপর হালকা জিনিষ পত্র নিয়ে ছবি তুলতে বের হওয়া উচিত।
১০. একটা নতুন কিছু দেখান
আমি জানি কক্সবাজারে সমুদ্র আছে, এবং খাগড়াছড়িতে পাহাড় আছে। কিন্তু আপনি যদি আমাকে এমন কিছু দেখাতে পারেন যা আমি জানি না যে ঐখানে আছে, বা এমন কোন একটা ভিউ দেখাতে পারেন যা ঐ স্থানকে আমার কাছে নতুন করে উপস্থাপন করবে, তাহলেই সেটা হবে আপনার সার্থকতা।
১১. এক সাথে সব দেখতে যাবেন না
আপনার হয়ত সময় সল্পতা আছে, আর তাই এক স্থান থেকে দৌড়ে অন্য স্থানে গিয়ে দ্রুত সব কিছু না তুলে মাত্র একটি জায়গার সুন্দর কিছু কাজ করুন। তাতেই বরং আপনার ছবি সুন্দর হবে।
১২. আস্তে আস্তে ভ্রমণ করুন
যদি সময় আপনার অনুকূলে থাকে, তাহলে আস্তে আস্তে ভ্রমণ সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। কোন স্থানে যাবার জন্য ট্রেন বা বাসে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের। আবার কোন স্থানে গিয়ে আশে পাশে হেটে হেটে ঘুরে দেখাটা বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩. মাঝে মধ্যে ক্যামেরাটাকে নামিয়ে রাখুন
সব সময় ক্যামেরা চোখে লাগিয়ে রাখলেই হবে না। তবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মাঝে মধ্যে ক্যামেরা রেখে চারিদিকে তাকান ভাল, তাতে করে আপনি আশেপাশে খুব ভাল করে দেখতে পারবেন।
১৪. সব কিছু স্বাভাবিক রাখুন
Henri Cartier Bresson, একজন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ফটোগ্রাফার, যিনি কখনও তার ছবি তোলায় ফ্লাসের ব্যবহর করেন নি। তার ভাষ্য মতে, একটা কনসার্টে ফ্লাস নিয়ে যাওয়া কিছুটা একটা পিস্তল হাতে নিয়ে যাওয়ার মত। সব সময় উচিত ন্যাচারাল লাইটের সুবিধাটা নেওয়া। তাই বলে কখনই ফ্লাস ব্যবহার করবেন না এমনটা নয়। তবে যথা সম্ভব এইসব এড়িয়ে চলা ভাল।
১৫. উচুঁতে উঠুন
একটু উপরের দিকে যদি উঠতে পারেন, যেমন যেই স্থান থেকে ঐ জায়গার সম্পূর্ণ একটা ভিউ পাওয়া যাবে, সেটা হবে আপনার জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট।
১৬. অজুহাত দিবেন না
যদি কখনও কাউকে বলা হয় যে ছবি ভাল হয়নি কেন, তখন স্বাভাবিক ভাবে যা উত্তর আসে তা হল, “আমারতো ভাই দামী ক্যামেরা না”, “যদি আমারে কেউ ঘোরাঘুরির জন্য টাকা দিতে, তাইলে হয়ত আর একটু সময় নিয়ে ভাল কিছু করতে পারতাম”, “আমার যদি আর একটু সময় থাকত” ইত্যাদি ইত্যাদি। সরল কথায় এই গুলা হল অজুহাত। আর হুমায়ুন আহম্মেদের ভাষায় বাঙ্গালীর তিন হাত, ডান হাত, বাম হাত এবং অজুহাত। মূল বিষয় হল আপনি যদি পারেন, এমনিই পারেন, না পারলে কোন ভাবেই পারেন না। স